হাজার বছর আগের কর্ণপুর বড় দিঘী ও কনক রাজার বাড়ি
হাজার বছরের বেশী সময় ধরে স্মৃতি ধারণ করে আছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামে কনক রাজার বাড়ির স্মৃতিচিহ্ন এবং তার পাশেই বিশাল এক ঘিঘি। দিঘীর পাশে কলা বাগানের ভেতরের দৃশ্য এবং পানির নীচে ভেসে যাওয়া দেয়াল দেখলে গা শিউরে উঠবে যে কারোই। প্রিয় পাঠক ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আমার সকল ভিডিও দেখতে ফলো দিবেন আমার এই ফেসবুক পেজটি পাশাপাশি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন আমার ইউটিউভ চ্যানেলটি।
দড়ি খুঁজেখানি গ্রাম অর্থাৎ গোসিংগা বাজার থেকে পশ্চিমে শ্রীপুর উপজেলার সড়ক ধরে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার এগোলেই কর্ণপুর গ্রাম। মূল সড়ক থেকে দক্ষিণে ৫০০ মিটার গেলে দেখা যাবে বিশাল একটি দিঘী। স্থানীয়ভাবে এটি ‘কনক রাজার দিঘী’ বা ‘বড় দিঘী’ নামে পরিচিত।
ঘাট থেকে দিঘির এই পর্যন্ত একটি দেয়াল আছে। চৈত্রে দিঘির পানি কমে গেলে সে দেয়াল চোখে পড়ে। কর্ণ রাজার ছিল দুই রানী। তাদের জন্য এ দেয়াল দিয়ে দিঘিটি দুই ভাগ করে দেওয়া হয়। রাজার মূল প্রাসাদের উত্তরে ছিল আরেকটি প্রাসাদ। সে প্রাসাদে থাকতেন দ্বিতীয় রানী। বর্তমানে বাদবাকি জায়গা জঙ্গলাকীর্ণ, বাঁশঝাড়ে পূর্ণ।
এর পরেই রয়েছে কলা বাগানের শেষ প্রান্ত, সে প্রান্তে দেখা মেলে মোটা দেয়াল, প্রাচীন আমলের সে দেয়াল। এটি আর দেয়ালের ওপারে গভীরে ধানক্ষেত। দেয়ালটি দেখলেই অনুধাবন করা যায়, এটি ছিল রাজবাড়ির রক্ষাপ্রাচীর। দেয়ালটির উত্তরের প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট কেটে ফেলা হয়েছে। পাশেই যে ইট গুলো রয়েছে সেগুলোই কেটে ফেলা অংশের ইট।
ইতিহাসে আছে, ১০৪৫ সালের দিকে কলচুরির রাজা লক্ষ্মীকর্ণ যুদ্ধে মহারাজা গোবিন্দ চন্দ্রকে হারিয়ে হত্যা করে এখানে শিবির স্থাপন করেন। সে বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন এ দিঘি আর রাজবাড়ি।